শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, র্যাব ১২ সিপিসি-১ :
র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানে ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি গ্রেফতার। ২০১৫ সালে ভিকটিমের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে পরবর্তীতে মোঃ রবিন হোসেন ও ভিকটিমের পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকার কারনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। উক্ত সম্পর্কের এক পর্যায়ে মোঃ রবিন হোসেন ভিকটিমকে বিবাহের আশ্বাস দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন সময় দৈহিক মেলামেশা করতেন। তাদের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালে মোঃ রবিন হোসেন এর পরিবার তাকে অন্য মেয়ের সাথে বিবাহ দেয়। গত ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ মোঃ রবিন হোসেন ভিকটিমকে বিবাহ করার প্রেলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করার কারনে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরেও তাকে বিবাহ করার আশ্বাস দেখিয়ে মোঃ রবিন হোসেন পালিয়ে ময়মনসিংহ চলে যায়। গত ০৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ভিকটিম কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিম বাদী হয়ে গত ০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার-৮, তারিখ-০২ নভেম্বর ২০২৩। উক্ত ঘটনাটি মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় সিপিসি-১ কুষ্টিয়া, র্যাব-১২ এবং র্যাব-১৪, সদর কোম্পানী গত ০৮ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ী থানা এলাকা হতে উক্ত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মোঃ রবিন হোসেন (৩৭), পিতা-মোঃ গোপাল মোল্লা, সাং-চিথলিয়া, থানা-মিরপুর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
স্বাক্ষরিত-এম আবুল হাশেম সবুজ,(লেঃ কমান্ডার বিএন),কোম্পানী কমান্ডার. র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া।